টলিউডবিনোদন

Sreelekha Mitra: পথপশুদের পর তৃতীয় লিঙ্গের মানুষের প্রতি ভালোবাসা শ্রীলেখার

×
Advertisement

শ্রীলেখা মিত্র টলিউডের অত্যন্ত জনপ্রিয় অভিনেত্রীদের মধ্যে একজন। বহু বছর ধরে টেলিভিশন এবং সিনেমাতে দাপটের সঙ্গে কাজ করেছেন এই অভিনেত্রী। এই অভিনেত্রীর বয়স বাড়লেও চিররঙিন থাকতে ভালোবাসেন। অভিনয়ের পাশাপাশি পথপশু শিশুদের বড্ডো বেশি ভালোবাসেন। নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় ভীষণরকম সক্রিয় শ্রীলেখা। সম্প্রতি নিজের ফেসবুক পেজে ডেটে যাওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন অনুরাগীদের। তবে ছিল এক শর্ত।

Advertisements
Advertisement

অভিনেত্রী বলেন যার সাথে তিনি ডেটে যাবেন তাকে অবশ্যই পথ পশুদের প্রতি ভালোবাসা থাকতে হবে। আর সেই শিশুদের মধ্যে একজনকে দত্তক নিতে হবে। অভিনেত্রী যেমন স্পষ্ট কথা বলতে ভালোবাসেন তেমন কথা মতো কাজ করতে ভালোবাসেন। অভিনেত্রীর কথামতো রেড ভলেন্টিয়ার্স শশাঙ্ক এক কুকুরছানাকে দত্তক নেন। তাই অভিনেত্রীও নিজের কথা মতো সদ্য রেড ভলেন্টিয়ার্স শশাঙ্কের সঙ্গে ডেটিংয়ে যান।

Advertisements

শ্রীলেখার এই ডেটিং খবর নেট পাড়ায় এখন সকলের জানা। এমনকি এই ডেটে যাওয়ার জন্য নানান প্রস্তুতি তিনি নিজের অনুরাগীদের সাথে ভাগ করে নেন। তিনি সকল অনুরাগীদের কাছে জানতে চেয়েছিলেন এই ডেটে যাওয়ার জন্য কী রকম পোশাক পরা উচি সে বিষয়ে নিজের সোশ্যাল হ্যান্ডেলে জানতে চেয়েছিলেন। বিভিন্ন সাজেশন এসেছিল অভিনেত্রীর কমেন্ট বক্স। শেষমেষ সাদা টপ আর ব্লু জিন্স পরেই শশাঙ্কের সঙ্গে প-সাম ডেট গেলেন। আর তাঁর ডেটের সঙ্গীও ম্যাচিং ড্রেসের সাম্য বজায় রাখলেন।

Advertisements
Advertisement

অভিনেত্রীর এই প-সাম ডেটে যাওয়ার পথে গাড়ির সিগন্যালে হঠাৎ দেখা হয় তেনাদের সাথে হ্যাঁ যাদের আমরা হিজরা বলে ডাকি। অন্যরা এই মানুষদের ঘৃণার চোখে দেখলেও সাবাই এক নয়৷ সেই সময় এই মানুষের উপস্থিতি অভিনেত্রীর কাছে সৃষ্টি হল মিষ্টি এক মুহূর্তের। অন্যদের মতো মুখ ঘুরিয়ে ভিক্ষা দিয়ে চলে যাওয়া নয় বরং হাসি মাখা সেলফি তুললেন। আর সেই ঝলক পোস্ট করলেন নিজের ফেসবুকে। ছবি পোস্ট করে শ্রীলেখা লেখেন, “গতকাল ডেটে যাওয়ার সময় ছবিটা তোলা। এই মানুষগুলো আমার খুব পছন্দের। কোনও কোনও সময় ওনারা আমাকে চিনতে পেরে এগিয়ে আসেন এবং আমার লিপস্টিকের শেডের প্রশংসা করেন। এগুলোই আমার ভালো থাকার রসদ। এগুলো আমাকে ভালো রাখে। এর মাধ্যমে কিছু পজিটিভিটি এবং ভালোবাসা ছড়িয়ে পড়ে।” এই ছবি আর লেখা পোস্ট অভিনেত্রীর প্রতি ভালোবাসা আর শ্রদ্ধা দ্বিগুণ বেড়ে গেল।

Related Articles

Back to top button