নিউজরাজ্য

বাবার সর্বক্ষণের সঙ্গী মেয়ে, টোটো চালিয়ে সংসার চলছে এই গরিব পরিবারের

×
Advertisement

মলয় দে, নদীয়া: সেথায় ধনীর ছেলে সাহেব ডনি/আছে যে তার টাকার খনি/আর সামু দাদার নেই যে কিছুই/আছে হৃদয় রত্ন ধন/”শহরটারে গোলক ধাঁধায় আঁধার হল মন”, তবে এ ঘটনায়, আঁধারের থেকে আলোয় উদয় হবে চেতনার সূর্য। এই চিত্র দারিদ্র্যতার জয়গাঁথার গল্প শোনায়।

Advertisements
Advertisement

ড্রয়িং, সুইমিং, জিম, ডান্স নানান শিক্ষা ধনীর ঘরে পোশাকি নাম হলেও, মৌমিতার বাবার মতো বাবা পেলে শত দারিদ্র্যতাও হার মানে। মেয়ের সবশিক্ষাই সম্পূর্ণ হচ্ছে পেশায়, নেশায় বাবার সর্বক্ষণের সঙ্গী হয়েই। নদীয়া জেলার শান্তিপুর শহরের 5 নম্বর ওয়ার্ডের লোকনাথ মন্দির সংলগ্ন এলাকার মণি কৃষ্ণ রায়, পেশায় মাছ বিক্রেতা ছিলেন। শিমুরালি থেকে মাছ কিনে নিয়ে বেচতেন পাড়ায় পাড়ায়।

Advertisements

লকডাউনে গণ পরিবহন মাধ্যম বন্ধ হওয়ায়, পেশা পরিবর্তন করে নিজের টোটো নিয়ে সবজি বিক্রি করতে বেরিয়েছেন কনিষ্ঠ কন্যা মৌমিতাকে সাথে নিয়ে। পেশায় যাই হন না কেন, মণিকেষ্ট বাবু লালন গীতি, বাউল গান নিজেই রচনা করেন। ছোট মেয়েকে নিয়ে বহু জায়গায় অনুষ্ঠানও করেছেন। পঞ্চম শ্রেণীতে পড়া সুমিষ্ট গলার মৌমিতার গানের কথা জানে জেলার বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ।

Advertisements
Advertisement

মণি কেষ্ট বাবুর চার কন্যাকে এভাবেই এক এক করে নিজের পেশায়, নেশায় সঙ্গী বানিয়েছেন। তিনি বিশ্বাস করেন সন্তান সবচেয়ে বড় বন্ধু, তাদের নিয়ে যত বেশি সময় কাটানো যাবে তত বাড়বে আন্তরিকতা, সহমর্মিতা, আত্মপোলব্ধি।

Related Articles

Back to top button