Trending

Video

Shorts

whatsapp [#128] Created with Sketch.

Join

Follow

মূল্য বৃদ্ধিতে রাশ টানতে আরো বাড়বে সুদ, দুদিনে প্রায় দেড় হাজার পয়েন্ট পড়ল ভারতীয় শেয়ার সূচক সেন্সেক্স

আগ্রাসীভাবে সুদ বৃদ্ধি করেও মূল্য বৃদ্ধিতে তেমন একটা রাশ টানা যায়নি। এই কারণে সেপ্টেম্বরেও চড়া হারে সুদ বৃদ্ধি হতে পারে বলে গত সপ্তাহে জানিয়েছে আমেরিকার শীর্ষ ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভ। এই…

Avatar

আগ্রাসীভাবে সুদ বৃদ্ধি করেও মূল্য বৃদ্ধিতে তেমন একটা রাশ টানা যায়নি। এই কারণে সেপ্টেম্বরেও চড়া হারে সুদ বৃদ্ধি হতে পারে বলে গত সপ্তাহে জানিয়েছে আমেরিকার শীর্ষ ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভ। এই ইঙ্গিতের পরেই বিশ্বজুড়ে পড়তে শুরু করেছে শেয়ার বাজার। শুক্রবার ৬৫২ পয়েন্ট পোড়ে ভারতের শেয়ার সূচক Sensex বন্ধ হয়েছিল। সোমবার নেমে গেল আরও ৮৭২ পয়েন্ট। সোমবারের পর ভারতের শেয়ার সূচক থেমেছে ৫৮,৭৭৩.৮৭ অংকে। মাত্র দু’দিনের মধ্যেই ১৫২৪ পয়েন্ট পতনের কারণে লগ্নীকারীদের ৬.৫৭ লক্ষ কোটি টাকার বেশি সম্পদের ক্ষতি হয়েছে।

অথচ জুন থেকে Sensex প্রায় ১৭ শতাংশ উঠেছিল বলে খবর মিলেছিল দালাল স্ট্রীট সূত্রে। সর্বোচ্চ শিখরের এই মুহূর্তে ১৪৬৪ পয়েন্ট নিচে রয়েছে ভারতীয় সূচক। গত দু মাসে উত্থান হয়েছিল ৮৯৩৮ পয়েন্টের। বাজার বিশেষজ্ঞরা দাবি করছেন, লোক্নীকারীদের আশা ছিল এবারে সুদ বৃদ্ধির গতি কমতে পারে এবং শেয়ার সূচক আরো উন্নতি করতে পারে। কিন্তু সেরকমটা হলো না। বরং ফেডারেশনের গত বৈঠকের কার্যবিবরণীতে চড়া দাম নিয়ে দুশ্চিন্তা পরিষ্কার হলো। সদস্যদের অনেকে সেপ্টেম্বরের বৈঠকে ৭৫ বেসিস পয়েন্ট পর্যন্ত সুদ বৃদ্ধি করার দাবি রেখেছেন। এই বিষয়টি উসকে দিয়েছে আর্থিক বৃদ্ধি আরও ধাক্কা খাওয়ার আশঙ্কা। চীনের তৃতীয় ত্রৈমাসিকে আড়াই বছরের মধ্যে সবথেকে স্লথ বৃদ্ধি দেখা যাচ্ছে। ফলে ভারত এবং বেশিরভাগ দেশের বিনিয়োগকারীরা কিন্তু সমস্যার মধ্যে রয়েছেন। তবে তাদের মধ্যেই একাংশ আবার শেয়ার বেচে মুনাফা তুলতে শুরু করেছেন।

সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻

Join Now

ডেকো সিকিউরিটিজ এর ডিরেক্টর আশীষ দে বলছেন, আন্তর্জাতিক নানা কারণে ভারতীয় শেয়ার সূচক নিচের দিকে নামতে শুরু করেছে। শুক্রবার আমেরিকায় ৭০ টি দেশের ব্যাংক এবং আর্থিক সংস্থার কর্তাদের মধ্যে বৈঠক হবে এবং সেই বৈঠকে আগামী দিনের সুদের হার বৃদ্ধি নিয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে ফেডারেশন। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, বৈঠকে অনেকেই সুদ বৃদ্ধির পক্ষে সওয়াল করতে পারেন। বৃদ্ধি নিয়ে উদ্বিগ্ন বহু লগ্নিকারী এই কারণেই তুলনায় অনেকটা সুরক্ষিত ডলারে পুঁজি সরিয়ে দিতে শুরু করেছেন।

About Author