Today Trending Newsনিউজপলিটিক্সরাজ্য

৭২ জন বিজেপি বিধায়ক তৃণমূলে যাবেন, চাঞ্চল্যকর দাবি বিজেপি নেতার

শমীক ভট্টাচার্য বলেছেন, যারা যাচ্ছেন তারা যেতে পারেন দলের তাতে কোন সমস্যা নেই, দল নিজের মতো এগিয়ে যাবে

Advertisement
Advertisement

২০২১ সালটি বাংলা রাজনীতিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বছর হিসেবে সামনে আসছে। এই বছরে নির্বাচনের আগে বেশ কিছু নেতা বিজেপি থেকে তৃণমূলে এসেছিলেন। আবার তাদের মধ্যেই অনেকে এবারে তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যাবার পরিকল্পনা নিয়েছেন বলে খবর। এদের মধ্যে অগ্রগামী সোনালী গুহ, এবং দীপেন্দু বিশ্বাস। অন্যদিকে আবার উত্তরপাড়া প্রাক্তন বিধায়ক প্রবীর ঘোষাল দলের প্রতি বেশ শুরু হতে শুরু করেছেন। ফলে তারও তৃণমূলে যাওয়ার জল্পনা দানা বেঁধেছে।

Advertisement
Advertisement

তার মধ্যেই, এরকম একটি দোলাচল কোন রাজনৈতিক পরিস্থিতির মাঝখানে একটি সাংবাদিক বৈঠকে চাঞ্চল্যকর দাবি করে বসলেন বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য। তিনি প্রকাশ্যে বললেন, “আমাদের কাছে খবর আছে, ৭২ জন বিধায়ক তৃণমূলে যাচ্ছেন। প্রত্যেকের জন্য শুভেচ্ছা রইল। যে যেখানে গিয়ে শান্তি পাবেন তারা শান্তিতে থাকুন। বিজেপি দল থেকে কাউকে জোর করে দলে আনা হয়নি। আমরা নিজেদের গতিতে দলকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। দল থেকে একজন চলে যাওয়া মানে দলের ক্ষতি। কিন্তু আমরা কারো আঁচল ধরে থাকি না। যারা বিজেপিতে রাজনীতি করতে এসেছেন তারা সম্পৃক্ত আছেন। কিন্তু কিছু কিছু জায়গায় জোর করে তৃণমূলে নাম লেখানো হচ্ছে। এভাবে বিজেপিকে আটকানোর যাবে না।”

Advertisement

অন্যদিকে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠা প্রসঙ্গে কটাক্ষ করে বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “তৃণমূল কংগ্রেস দলটাতো অন্যদেরকে নিয়ে তৈরি করা হয়েছে। কংগ্রেস থেকে জন্ম নিয়ে অশান্ত শিশু ওরা।” অন্যদিকে আবার শোনা যাচ্ছে মুকুল রায়, তার পুত্র শুভ্রাংশু রায় এবং বন মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় দলের প্রতি বেসুরা মনোভাব প্রদর্শন করছেন। শুভ্রাংশু রায় সরাসরি নিজের ফেসবুক একাউন্টে দলের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। বাকিরা প্রকাশ্যে না করলেও, আকারে-ইঙ্গিতে বুঝিয়েছেন, বিজেপির সঙ্গে তাদের দূরত্ব বেড়েছে।

Advertisement
Advertisement

এরকম পরিস্থিতিতে তৃণমূলের সাংগঠনিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হলো শনিবার। সেখানে দলবদলকারী নেতাদের নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত না নেওয়া হলেও পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, “দলে যারা ফিরতে চাইবেন সেই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সে সিদ্ধান্ত নেবেন। অর্থাৎ তাদেরকে দলে ফেরানোর না ফেরানো সবকিছুই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে।” প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে একটি সাংবাদিক বৈঠকে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় খোদ বলেছিলেন, “আসুক না, কে বারণ করেছে?” যে মন্তব্যের পর পরিষ্কার হয়ে গিয়েছিল এখনো তৃণমূল দলবদলুদের ভুলে যায়নি।

Advertisement

Related Articles

Back to top button