Today Trending Newsনিউজপলিটিক্সরাজ্য

বড় ধাক্কা তৃণমূলে! পার্থ গড়ে গিয়ে শাসকদলে ভাঙন ধরালেন শুভেন্দু অধিকারী

গতকাল শুভেন্দু অধিকারীর হাত ধরে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা তৃণমূল যুব সংগঠনের সহ-সভাপতি মৈনাক চট্টোপাধ্যায় সহ ৩৫০ জন কর্মী সমর্থক বিজেপিতে যোগদান করছে

Advertisement
Advertisement

একুশে বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যের সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলি পূর্ণ উদ্যমে তাদের শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি খতিয়ে দেখে নিচ্ছে। নির্বাচন কমিশনের ভোটের দিন ঘোষণা করার পর তৃণমূল কংগ্রেসের চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা ও বিজেপির প্রথম দুই দফার জন্য প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হয়ে গেছে। কিন্তু এর মধ্যেও তৃণমূলের অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে তাদের দলের ভাঙ্গন। এবার শুভেন্দু অধিকারী কলকাতার বেহালা পশ্চিমে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের এলাকায় শাসক শিবিরে ভাঙ্গন ধরিয়েছেন। গতকাল অর্থাৎ শনিবার রাতে বেহালার রোড সংলগ্ন মুচি পাড়ার মোড়ে বিজেপির পথসভা ছিল। আর সেখানেই দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা তৃণমূল যুব সংগঠনের সহ-সভাপতি মৈনাক চট্টোপাধ্যায় সহ ৩৫০ জন কর্মী সমর্থক বিজেপিতে যোগদান করেছেন। গতকালের সেই পথসভায় শুভেন্দু ছাড়া শংকর সিকদার ও সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া হিরণ চক্রবর্তী উপস্থিত ছিলেন।

Advertisement
Advertisement

গতকাল শুভেন্দু অধিকারী পার্থ চট্টোপাধ্যায় গড়ে গিয়ে তার বিরুদ্ধে কটাক্ষ করে বলেছেন, “এখানে যিনি আছে সেই রাজ্যের শিক্ষাব্যবস্থাকে ডকে তুলে দিয়েছে। গোটা রাজ্যে শিল্পের অবস্থানের বারোটা বাজিয়ে গিয়েছে। ক্লাস এইট এর বইতে আকাশকে আসমান ও জলকে পানি বলছে। এবার মাকে আম্মু বলতে শেখাবে আর মাসিকে ফুফু। এইসবের মূলে আছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়।” এছাড়াও তিনি তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ করেছেন। যেহেতু এবারের নন্দীগ্রাম গড়ে শুভেন্দুর বিপরীতে দাঁড়িয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, এই প্রসঙ্গে কটাক্ষ করে তিনি বলেছেন, “ভবানীপুর থেকে হেলিকপ্টারে চড়ে আমার সাথে নন্দীগ্রামের লড়তে আসছে মাননীয়া।”

Advertisement

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গোটা বঙ্গ রাজনীতি আজ তাকিয়ে আছে মোদীর ব্রিগেড সমাবেশের দিকে। ব্রিগেড সমাবেশে উপস্থিত থেকে মোদি কি নতুন মাস্টারস্ট্রোক দেন, তার অপেক্ষায় আছে গোটা বঙ্গবাসী। অন্যদিকে নির্বাচনের এই কিছুদিন আগেও দলের ভাঙ্গন অব্যাহত থাকায় চরম অস্বস্তিতে পড়েছে শাসক দল। এরইমধ্যে শুভেন্দু দলত্যাগীদের উদ্দেশ্যে বলেছেন, “আমার যে সমস্ত ভাইয়েরা আজমুল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছে তাদের জেলা সভাপতি সদস্যপদ দেবেন। ওরা সবাই মিলে পার্থবাবুকে হারিয়ে দেবে।”

Advertisement
Advertisement
Advertisement

Related Articles

Back to top button