আন্তর্জাতিকনিউজ

Yaas in Bangladesh: ‘যশ’-এর তাণ্ডবে তছনছ ওপার বাংলা, জলের তলায় তলিয়ে গেল প্রায় ৩০টি গ্রাম

প্রায় স্বাভাবিকের তুলনায় ৩-৪ ফুট জলস্তর বৃদ্ধি পেয়েছে বাংলাদেশে

Advertisement
Advertisement

গতকাল উড়িষ্যার বালেশ্বরে ঘূর্ণিঝড় যশের ল্যান্ডফল হলেও এর আস্ফালন দেখা গিয়েছিল বাংলার উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে। দীঘা এবং সুন্দরবন অঞ্চলের একাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে সমুদ্রের জলস্তর বৃদ্ধির জন্য। বাংলার পাশাপাশি এই ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বাংলাদেশের উপকূলের একাধিক জেলা। ঘূর্ণিঝড়ের জেরে একাধিক জায়গায় বাঁধ টপকে জল গ্রামের ভেতর প্রবেশ করেছে। বাংলাদেশের পটুয়াখালীর ২০ টি গ্রাম এই ঝড়ের দাপটে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গ্রামগুলির অধিকাংশ অঞ্চলই এখন জলের তলায়। নদীর জল উপচে পড়ে এমন বিপত্তি ঘটেছে বলে জানা গিয়েছে ওপার বাংলার সংবাদ সংস্থার মাধ্যমে।

Advertisement
Advertisement

জানা গিয়েছে, বাংলাদেশের উপকূল জেলা খুলনা, পটুয়াখালী, নোয়াখালী ইত্যাদি এলাকার নিচু এলাকা এবং চড়া অঞ্চলগুলিতে জোয়ারের জল প্রবেশ করে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করেছে। অনেক জায়গায় বেরিবাঁধ টপকে একাধিক এলাকায় জল প্রবেশ করেছে। শুধুমাত্র খুলনা জেলায় ১৮ টি স্থানে নদী বাঁধ ভেঙেছে। অঞ্চলগুলিতে স্বাভাবিকের তুলনায় ৩-৪ ফুট জল স্তর বৃদ্ধি পেয়েছে। উপজেলায় অন্তত ৩০ টি গ্রাম জলের তোড়ে প্লাবিত হয়েছে। আতঙ্কে রয়েছে গ্রামের বাসিন্দারা।

Advertisement

বাংলাদেশ প্রধানত নদীমাতৃক দেশ। এই জায়গায় উপকূলের অঞ্চলে অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন বেশ সক্রিয়। কিন্তু ঝড়ের ক্ষয়ক্ষতির জন্য আপাতত অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলি থেকে সব ধরনের যাত্রীবাহি নৌকা চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ। বাংলাদেশের চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা এবং পায়রা সমুদ্রবন্দরে জারি করা হয়েছে সর্তকতা। সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, এই ঝড়ের ফলে মৃত্যু হয়েছে ১ ব্যক্তির। এছাড়া গতকাল রাত আটটা অবধি ৩ টি হরিণের মৃতদেহ পাওয়া গেছে।

Advertisement
Advertisement
Advertisement

Related Articles

Back to top button