দেশনিউজ

হল না শেষরক্ষা, তিন দিন হেঁটে বাড়ি ফেরার আগেই মৃত্যু কিশোরীর

Advertisement
Advertisement

পরিবারের মুখে ভাত তুলে দেওয়ার জন্য এক রাজ্য থেকে আরেক রাজ্যে পাড়ি দিয়েছিল ছোট্ট মেয়েটি। কিন্তু করোনা ভাইরাস সংক্রমণের ফলে গোটা দেশ লক ডাউন হওয়ায় বন্ধ হয়ে যায় কাজকর্ম। বন্ধ করে দেওয়া হয় সবরকম যান চলাচল পরিষেবা। আর তার ফলেই ভিনরাজ্যে আটকে পড়েন বহু শ্রমিক। সেরকমই ১২ বছরের ছত্তিসগড়ের বাসিন্দা এক কিশোরীও আটকে পড়ে ভিন রাজ্যে। এরপর দীর্ঘ পথ হেঁটে বাড়ি পৌঁছোনোর সিদ্ধান্ত নেয় সে। বাড়ি ফিরতে যখন আর ১৪ কিলোমিটার বাকি তখনই প্রাণ হারায় ওই কিশোরী। যখন খেলাধুলা, পড়াশোনা করার বয়স সেই সময় ওই কিশোরী সংসারের মুখে ভাত তুলে দেওয়ার জন্য ভিন রাজ্যে কাজ করত।

Advertisement
Advertisement

জানা গিয়েছে, লক ডাউনের ফলে দিনের পর দিন আটকে থাকার পর ১১ জনকে সঙ্গে নিয়ে তেলেঙ্গানা থেকে ছত্তিশগড়ের বিজাপুর জেলায় থাকা বাড়ির উদ্দেশ্যে হাঁটতে শুরু করে মেয়েটি। আরও জানা গিয়েছে, তেলেঙ্গানার একটি গ্রামে মরিচের শস্যক্ষেতে কাজ করত ওই কিশোরী। বাড়ি ফিরতে যখন আর ১৪ কিলোমিটার বাকি তখনই হঠাৎ পেটে ব্যথা অনুভব করে সেই ছোট্ট মেয়েটি। এরপর যন্ত্রণায় কাতরাতে থাকে এবং সেখানেই মৃত্যু হয় তার।

Advertisement

জাতীয় সড়ক নয়, তারা আসছিলেন বনজঙ্গলের মধ্যে দিয়ে। ওই কিশোরী সহ বাকি ১১ জন ১৫ এপ্রিল থেকে টানা হাঁটে, মেলেনি ঠিক করে খাবার বা জল কোনোটাই। শারিরীক দুর্বলতা সহ্য করতে না পেরে বাড়ি থেকে ১৪ কিলোমিটার দুরেই প্রাণ হারায় ওই কিশোরী। শেষে তার মরদেহ অ্যাম্বুলেন্সের মাধ্যমে নিজ বাড়িতে পৌঁছয়।

Advertisement
Advertisement
Advertisement

Related Articles

Back to top button