নিউজপলিটিক্সরাজ্য

ঝাড়গ্রামের ৪ আসনে প্রার্থী হতে চান ১০০ জন, মাথায় হাত বিজেপি নেতৃত্বের 

আসন সংখ্যা মাত্র চার। কিন্তু প্রার্থী হতে চান কমপক্ষে ১০০ জন। এমনই নাকি অবস্থা ঝাড়গ্রাম গেরুয়া শিবিরের অন্দরমহলে

Advertisement
Advertisement

আসন সংখ্যা মাত্র চার। কিন্তু প্রার্থী হতে চান কমপক্ষে ১০০ জন। এমনই নাকি অবস্থা ঝাড়গ্রাম গেরুয়া শিবিরের অন্দরমহলে। বিজেপির ড্রপ বক্সে শতাধিক নাম জমা পড়েছে বলে সূত্র হতে জানা গিয়েছে। এই নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি শাসক শিবির। যদিও গেরুয়া শিবিরের সাফাই, গণতান্ত্রিক দলে সকলের প্রার্থী হওয়ার জন্য নাম দিতে পারেন।

Advertisement
Advertisement

নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। এখন দল প্রার্থী ঘোষণার পালা। সেই প্রার্থী বাছাই করতে গিয়ে বেজায় বিড়ম্বনায় পরছে গেরুয়া শিবির। দলীয় সূত্র হতে জানা গিয়েছে, ঝাড়গ্রামে গেরুয়া শিবিরের জেলার বিভিন্ন সাধারণ সম্পাদক থেকে শুরু করে যুব মোর্চা, মহিলা মোর্চা এর সাথে আরও অন্যান্য শাখা সংগঠনের বিভিন্ন নেতা নেত্রীরা প্রার্থী হতে চয়েছেন। এমন ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

Advertisement

এই নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি ঝাড়গ্রামের শাসক শিবিরের নেতৃত্ব। রাজ্য তৃণমূলের অন্যতম সম্পাদক ছত্রধর মাহাতো বলেন, “বিজেপিতে সার্কাস চলে। কোনও শৃঙ্খলা নেই। টাকা হাতানোর কৌশল। ভাবছে প্রার্থী হয়ে গেলে টাকা পাব। এদের অগাধ টাকা। দলের সদস্যরা ভাবছে কীভাবে টাকা হাতাব।” এই বিষয়ে ঝাড়গ্রাম জেলা বিজেপির সভাপতি সুখময় শতপথি জানিয়েছেন, “গণতান্ত্রিক দলে যে কেউ প্রার্থী হওয়ার ইচ্ছেপ্রকাশ করতে পারেন। অসুবিধা কোথায়? আর আমাদের দলে কোনও গোষ্ঠী নেই। ফলে গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব হওয়ার কোন বিষয় নেই।”

Advertisement
Advertisement

গেরুয়া শিবিরের দলীয় সূত্র হতে জানা গিয়েছে, ঝাড়গ্রাম জেলার চার বিধানসভার জন্য মহিলা মোর্চার জেলা সভাপতি, জেলা পর্যবেক্ষক, এসটি মোর্চার জেলা সভাপতি যুব মোর্চার সাধারণ সম্পাদক, জেলার যুব মোর্চার এক রাজ্য নেতা, বিজেপির মুখপাত্র, শিক্ষক সংগঠনের একাধিক জেলা নেতা, বিজেপির জেলা সম্পাদক-সহ জেলার বিভিন্ন মন্ডলের সভাপতিদের নামও গিয়েছে প্রার্থী হওয়ার জন্য। প্রার্থী হওয়ার লম্বা তালিকা দেখে ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা, প্রার্থীর নাম ঘোষণার পর ব্যপক গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব হতে পারে বিজেপিতে।

Advertisement

Related Articles

Back to top button