সাধারণত মশা তিন প্রকার। অ্যানোফিলিস, কিউলেক্স ,এডিস। এই এডিস মশা সবচেয়ে মারাত্মক যা ডেঙ্গু রোগ ছড়ায়। বাজারে অনেক মশা তাড়াবার ধূপ পাওয়া গেলেও প্রাকৃতিক উপায়ে কিভাবে এটি নিরাময় করা যায় সে বিষয়ে মানুষ বেশি আগ্রহী।
১.মশা তাড়াবার একটি প্রাকৃতিক উপাদান হলো নিম পাতা। এই নিম পাতা থেকে তৈরি তেল শরীরে মাখলে মশা থেকে রেহাই পাওয়া যায়।
২.অনেকের মতে নারকেল তেলে মশা তাড়ানো যায়। কিন্তু এই ধারণাটি সম্পূর্ণ ভুল। বিশেষজ্ঞদের মতে নারকেল তেলে মশা তাড়ানোর বিশেষ কোনো উপাদানই নেই। মশা তাড়াবার ক্ষেত্রে নিমপাতায় বেশি কার্যকরী।
৩. ভারতের জাতীয় ম্যালেরিয়া গবেষণা ইনস্টিটিউট পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে বলছেন কেরোসিনের সঙ্গে নিম তেল মিশিয়ে তা যদি ছড়ানো হয় তবে ম্যালেরিয়া ও কিউলেক্স প্রজাতির মশা নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
৪. মশা তাড়াবার আর একটি কার্যকরী উপায় হল ধুপ। এটি মশাকে মারতে পারে না কিন্তু আমাদের শরীর থেকে মশাকে দূরে রাখতে সাহায্য করে। এটি শুধু মশাই নয় অন্যান্য কীটপতঙ্গ তাড়াতেও সাহায্য করে। বাজারে চলতি ধূপের ধোঁয়া আমাদের স্বাস্থ্যের পক্ষে খুবই ক্ষতিকর। কিন্তু নিমের তেল বা নিম পাতার রস ব্যবহারে কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। এতে শরীরের কোন ক্ষতি হয় না।
৫. শুধু নিম পাতায় নয় নিমের ছাল, ফুল ,ফল ,বীজ সবই আমাদের কাজে লাগে।এছাড়াও নিমের বহুমুখী ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়।
৬. এরই সঙ্গে আরেকটি গুজব ছড়ানো হয়েছে যে পেঁপে পাতার রস খেলে ও নাকি ডেঙ্গু উপশম হবে।এ ধারণা সম্পূর্ণ ভুল।ঢাকা মেডিকেল কলেজের মেডিসিন বিভাগের শিক্ষক জানিয়েছেন পেঁপে পাতার রসে ডেঙ্গু কমানোর কোন উপাদান নেই।
এছাড়াও কিছু সাবধানতা অবলম্বন করলে ডেঙ্গু রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব। যেমন বাড়ির আশেপাশে জল জমতে না দেওয়া, বাড়ির চারপাশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা ইত্যাদি।