রাজীব ঘোষ : লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস ৩৪ থেকে ২২ টি আসনে নেমে এসেছে।বিজেপি ২ থেকে ১৮ টি আসনে জয়ী হয়েছে।আগামী বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল কংগ্রেসের এই ফলাফল দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে যথেষ্ট সমস্যার সম্মুখীন করেছে।দলের খারাপ ফলের পর থেকেই রাজ্য জুড়ে অন্যান্য রাজনৈতিক দল থেকে বিশেষ করে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস থেকে একাধিক বিধায়ক, কাউন্সিলর, নেতা কর্মীরা দলে দলে গেরুয়া শিবিরে যোগ দিয়েছেন।রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় তৃণমূল কংগ্রেসের সাংগঠনিক অবস্থা যথেষ্ট খারাপ জায়গায় পৌঁছেছে।
তাই তৃণমূল নেত্রী নির্বাচন কৌশলী প্রশান্ত কিশোরকে নিয়োগ করে তার পরামর্শ অনুযায়ী দলকে চাঙ্গা করার লক্ষ্যে নিত্যনতুন পদক্ষেপ গ্রহণ করে চলেছেন।জনসংযোগ বাড়ানোর জন্য নতুন ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম দিদিকে বলো শুরু করে মানুষের অভাব অভিযোগ জানতে চাইছেন।দলের সমস্ত স্তরের নেতাদের এই নতুন কর্মসূচি নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করে শহর থেকে গ্রামে গিয়ে সরাসরি মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ করতে নির্দেশ দিয়েছেন।রাজ্যের ক্ষমতা পুনরায় দখলে রাখার জন্য ঘাসফুল শিবির দিদিকে বলো নিয়ে প্রচারের মাত্রা তুঙ্গে নিয়ে যাচ্ছে।প্রত্যেকটি ক্যাম্পেনেই পেশাদারিত্বের স্পষ্ট ছাপ দেখা যাচ্ছে।
বিভিন্ন ভাবে সোশ্যাল মিডিয়ায় জোরদার প্রচার শুরু করেছে তৃণমূল।সেই প্রচারেই এবার নয়া সংযোজন—দিদিকে বলো-র কার্টুন ক্যাম্পেন।এই কার্টুনের মাধ্যমে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে নতুনভাবে দিদিকে বলো নিয়ে প্রচার শুরু হয়েছে।কার্টুনের ছবিতে দেখা যাচ্ছে, গ্রামের এক ব্যক্তি আরেকজনের উদ্দেশ্যে বলছেন, সমস্যায় পড়েছি।বুঝতে পারছি না কাকে বলবো?তখন আরেক ব্যক্তি তাকে বলছেন, আরে দিদিকে বলো,ভয় নেই।তারপর দেখা যাচ্ছে, অমল মন্ডল নামে ওই ব্যক্তি দিদিকে বলোর ফোন নম্বরে ফোন করছেন।পরবর্তীতে তাকে ঘুরিয়ে ফোন করছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বিজেপি রাজ্যে লোকসভা নির্বাচনে উত্থানের পর রাজ্যের ক্ষমতা দখলের জন্য বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করেছে।সেই লক্ষ্যে তারা দলীয় কর্মসূচি গ্রহণ করে চলেছে।ফলে তৃণমূলকে ফের ক্ষমতায় থাকতে হলে মানুষের সঙ্গে দলের সংযোগ বৃদ্ধি করা প্রয়োজন বলে মনে করছেন অভিজ্ঞ মহল।সেই জন্য নতুন উদ্যোগের উপর তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জোর দিচ্ছেন।
দিদিকে বলোর প্রচারে বারেবারে অভিনবত্ব আনতে চাইছেন।পোর্টাল শুরু থেকে ফোনের মাধ্যমে যোগাযোগ, দলীয় নেতাদের গ্রামে গিয়ে রাত্রিবাস, সহ এবার কার্টুনের মাধ্যমে প্রচার করা।স্বাভাবিক ভাবেই আগামী বিধানসভা নির্বাচনকে লক্ষ্য রেখে শাসক থেকে বিরোধী সমস্ত রাজনৈতিক দলের উদ্যোগেই রাজ্য রাজনীতিতে নতুন মাত্রা আনতে চলেছে।