জীবনযাপন

ঋতুস্রাবের সময় কেন মহিলাদের মন্দিরে ঢোকা নিষেধ? আছে পৌরাণিক কাহিনী!

Advertisement
Advertisement

পিরিয়ড নারী চরিত্রের প্রকৃতিপ্রদত্ত একটি নিয়ম। প্রতি মাসেই প্রাপ্ত বয়স্ক নারীদের এই প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হয়। আর এই সময়টা তাদের বিভিন্ন নিয়মকানুন মানতে হয়। তার মধ্যে একটা হলো মন্দিরে না যেতে পারা বা কোনো ভগবানের সামনে না যেতে পারা। কিন্তু কেনো এমনটা বারণ করা হয়? এর পিছনে আছে এক পৌরাণিক কাহিনী।

Advertisement
Advertisement

কাহিনির শুরু ইন্দ্রদেবের থেকে৷ একসময় অসুরেরা দেবতাদের ওপর আক্রমণ করে। তখন দেবরাজ ইন্দ্র অসুরদের হাত থেকে বাঁচার জন্য ব্রহ্মার কাছে আশ্রয় নেন। ব্রহ্মা তাকে বাঁচার জন্য এক ব্রহ্মজ্ঞানী কে সেবা করার পরামর্শ দেন। ওই ব্রহ্মজ্ঞানী যদি তার সেবায় খুশি হয়ে তাকে বর দেন তাহলে ইন্দ্র এই বিপদ থেকে মুক্তি পাবেন। ব্রহ্মার পরামর্শ মতো ইন্দ্র একজন ব্রহ্মজ্ঞানীর সেবা করতে শুরু করেন। তাকে নানা উপঢৌকন দেন। কিন্তু ইন্দ্র জানতেন না ওই ব্রহ্মজ্ঞানীর মা ছিল একজন অসুর, তাই তিনি অসুরদের দিকেই ঝুঁকে ছিলেন।

Advertisement

এই কথা জানার পর ইন্দ্র ওই ব্রহ্মজ্ঞানীকে হত্যা করেন। কিন্তু গুরুহত্যা মহাপাপ। তাই এই পাপ এক রাক্ষস রুপ ধারণ করে ইন্দ্রকে তাড়া করলে ইন্দ্র বিষ্ণুদেবের কাছে আশ্র‍য় নেন বাঁচার জন্য। তখন ভগবান বিষ্ণু ইন্দ্রকে বলেন যে, তিনি যদি এই পাপ গাছ, জল, মাটি ও নারীর মধ্যে এই পাপ ভাগ করে দেন তাহলে তিনি মুক্ত হবেন। বিষ্ণুদেবের কথামতো ইন্দ্র তখন সেই পাপ ভাগ করে দিলেন জল, মাটি ও নারীর মধ্যে। সেই থেকে ইন্দ্রের এই পাপই মেয়েদের ঋতুস্রাবের মধ্য দিয়ে বয়ে চলেছে, এমনটাই বলে পৌরাণিক আখ্যানে।

Advertisement
Advertisement
Advertisement

Related Articles

Back to top button