বিনোদন

রুদ্রনীলের দরজায় হরেক রকম ফল পাঠালেন এক বেনামী দোকানদার, সঙ্গেই আর্জি ধার মেটানোর

রুদ্রনীল যদিও বিষয়টিকে খুবই চিন্তার বিষয় বলে মনে করছেন

×
Advertisement

আপেল, পেয়ারা, শাকালু, জামরুল, বেদানা, মুসাম্বি সহ একাধিক ফল সাজানো রয়েছে টেবিলের উপর। সামনে একটি ছোট কাগজ রাখা, যেখানে লেখা, ‘শুভেচ্ছা বার্তা, সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক কারণে ফল পাঠালাম, দয়া করে সেরে উঠে ধারটা মিটিয়ে দেবেন। – ইতি দোকানদার।’ অভিনেতা তথা রাজনীতিবিদ রুদ্রনীল ঘোষের ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইলে এরকম অদ্ভুত একটি ছবি পোস্ট হতে না হতেই হয়ে গিয়েছে জনপ্রিয়। রুদ্রনীলের ক্যাপশন, ‘চিন্তার বিষয়’। বিষয়টা কি সত্যিই চিন্তার? কারণটা কি সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক? নাকি অরাজনৈতিক শব্দবন্ধটির আড়ালে কোথাও লুকিয়ে রয়েছে গভীর রাজনৈতিক চিন্তা ভাবনা? প্রশ্নটা এখানে। চলুন জেনে নেওয়া যাক কি হয়েছে এবং হঠাৎ রুদ্রনীল এ রকম ফলের ছবি পোস্ট করলেনই বা কেনো?

Advertisements
Advertisement

করোনা আক্রান্তদের বাড়িতে ঝুড়ি করে ফল এবং মিষ্টি পাঠিয়ে সুস্থতা কামনা করছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় থেকে শুরু করে বেশি কিছু বিশিষ্ট সাংবাদিকদের বাড়িতেও এই ফল এবং মিষ্টি পাঠিয়ে সৌজন্যতা জ্ঞাপন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। কিন্তু এখানেই প্রশ্ন উঠছে অভিনেতা তথা রাজনীতিবিদ রুদ্রনীল ঘোষ এর ছবি ঘিরে। রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন, আদৌ কি রুদ্রনীল ঘোষ কে কোন বেনামী দোকানদার ফল পাঠিয়েছিল? নাকি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই সৌজন্যতাকে কটাক্ষ করতে গিয়েই সোশ্যাল মিডিয়াতে একটি তির্যক দৃষ্টিমাখা ছবি দিয়ে বসলেন রুদ্র?

Advertisements

অরাজনৈতিক লেখার মধ্যে কোথাও যেন একটা রাজনীতির ছোঁয়া থেকেই গেল। তবে অভিনেতা স্পষ্ট করে দিয়েছেন, এই ফল তাকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পাঠাননি। তবে কে পাঠিয়েছে, বা তিনি নিজেই কিনেছেন কিনা, সেই নিয়ে যদিও কোনো মন্তব্য করতে নারাজ রুদ্রনীল। সদ্যই জন্মদিনে গিয়েছে টলি দুনিয়ার এই অভিনেতার। সোশ্যাল মিডিয়াতে জন্মদিনের দিন একটি ভিডিও পোস্ট করেছিলেন তিনি, যেখানে তাকে দেখা গিয়ে গিয়েছিল পড়ন্ত বিকেলে বাড়ির ব্যালকনিতে বসে শীতের মিঠে রোদ গায়ে মাখছেন তিনি। তার হাতের উপর বসে রয়েছে একটি ছোট্ট পায়রা। রুদ্রনীল নিজে ঠোঁটে ধরছেন, আর তখনই সেখান থেকে খাবার টেনে নিচ্ছে সেই পায়রাটি। ভিডিওটিতে রুদ্রনীল ঘোষ নিজেকে নিজে জন্মদিনের শুভেচ্ছা ও জানিয়েছিলেন।

Advertisements
Advertisement

তিনি বললেন, ‘হ্যাপি বার্থডে টু মি। এই জন্মদিনটা করোনাভাইরাস স্পেশাল জন্মদিন। বন্ধু-বান্ধব কেউ নেই। একজন বন্ধু শুধুমাত্র এসেছে যার সঙ্গে খাওয়া-দাওয়া চলছে। আগে এই দিনটায় বন্ধুবান্ধব আসতো, ঘরে গিটার বাজত। কিন্তু এ বছর আর গিটার নেই, রয়েছে প্যারাসিটামল, কাফ সিরাপ আর থার্মোমিটার কচকচ। সবাই সুস্থ থাকুন, মাস্ক ব্যবহার করুন। যারা আমার জন্মদিনে আমাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তাদেরকে ধন্যবাদ। আমার সমস্ত শুভাকাঙ্খীদের ধন্যবাদ। আমার অসুস্থতার খবর শুনে যারা আমার খোঁজ নিয়েছেন তাদেরকেও ধন্যবাদ। এই দিল দুনিয়ার সবথেকে বড় ভ্যাকসিন মানুষের ভালোবাসা।’

Related Articles

Back to top button