নিউজ

কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মর্যাদা দেওয়া হোক বাংলার এই জেলাকে! দাবি এলাকাবাসীর! কি করবেন সরকার?

×
Advertisement

দার্জিলিংয়ে নতুন করে আন্দোলনের হুশিয়ারী দিলেন বিনয় তামাং এবং বিমল গুরুং।দুইজনেই আলাদা ভাবে এই আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন।বিনয় অবশ্য তার আন্দোলনে সব দলকেই যোগ দেওয়ার জন্য ডাক দিলেন।উপত‍্যকা রাজ‍্যকে দুই ভাগে ভাঙার উদাহরণ দেখিয়ে দার্জিলিংকে বিধানসভা সহ কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসেবে ঘোষণা করার দাবি উঠল পাহাড়ের প্রায় সব পক্ষ থেকে।জম্মু-কাশ্মীরকে দুই ভাগে ভেঙে দুটি নতুন কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল তৈরির খবরে নতুন দিশা দেখতে পাচ্ছে পাহাড়।কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের দাবি উঠতে শুরু করেছে দার্জিলিংয়ে।বিমল গুরুংপন্হী মোর্চার মুখপাত্র বিপি বজগাইও একজোট হওয়ার পক্ষে সওয়াল করে জানান, একই দাবিতে লড়তে থাকা সব দলের সঙ্গে আলোচনায় বসতে রাজি তারা।

Advertisements
Advertisement

বিনয় জানান, আন্দোলনের রূপরেখা ঠিক করতে ১৫ ই আগস্টের পরে তাদের কোর কমিটির বৈঠক হবে।পাহাড়ে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের দাবি শোনা গিয়েছে জি এন এল এফ নেতা এনভি ছেত্রীর মুখে,ঠিক অন্য দিকে রোশন গিরি,বিমল গুরুংরাও এই দাবিতে আন্দোলনে নামার কথা জানিয়েছেন।বিনয়পন্হীরা এর মধ্যে কার্শিয়াং,কালিম্পং,মিরিক,দার্জিলিংয়ের বিভিন্ন বাজার, গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার মোড়ে পোস্টার লাগিয়েছেন।পাহাড়ের অনেকেই বলছেন, বিনয় ও বিমলপন্হী মোর্চার মধ্যে নতুন করে সমঝোতা অসম্ভব নয়।এর মধ্যে এই দুই মোর্চার চা শ্রমিক সংগঠন চা বাগান শ্রমিকদের ন‍্যূনতম মজুরির দাবিতে এক মঞ্চে এসে আন্দোলন শুরু করেছে।

Advertisements

সাংসদ রাজু বিস্তা সংসদে কেন গোর্খাল্যান্ডের দাবি তুলছেন না, এই প্রশ্ন তুলে বিনয় বলেন, অন্য রাজ‍্যের সাংসদ লোকসভায় গোর্খাল্যান্ডের দাবি তুললেও দার্জিলিংয়ের সাংসদ চুপ করে বসে আছেন।গোর্খাল্যান্ডের দাবির সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারের উদাসীনতার বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামব।সাংসদ রাজু বিস্তা বলেন, ২০২৪ সালের মধ্যে পাহাড়ের স্হায়ী সমাধান হবে বলে তিনি আশাবাদী।বিজেপি স্হায়ী রাজনৈতিক সমাধানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।সেটা গোর্খাল্যান্ড হোক, বিধানসভা সহ কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হোক বা অন্য কিছু।সব পক্ষকে নিয়ে আলোচনা করে এই সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।রোশন সংবাদ সংস্থাকে বলেন, আমাদের মনে হয়, এটাই সেরা সময়।দার্জিলিংকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মর্যাদা দেওয়া হোক।আমরা খুব শিগগির আন্দোলনে নামবো। এই আন্দোলনে নরেন্দ্র মোদী কতটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, সেই নিয়ে তাকিয়ে রয়েছে সবাই।

Advertisements
Advertisement

Related Articles

Back to top button